Lakshmir Bhandar: হবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’র ত্রুটি সংশোধন

 


লক্ষ্মীর ভান্ডারের ত্রুটিপূর্ণ আবেদন সংশোধন করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে জেলায় শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। একজনও আবেদনকারী যাতে প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

দুয়ারে সরকারের শিবিরের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রায় দশ লক্ষ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলি জমা পড়ার পর জেলা প্রশাসন সেগুলি দ্রুত গতিতে যাচাইয়ের কাজ শেষ করে। ইতিমধ্যে জেলার প্রায় ৭ লক্ষ মহিলা দু'মাসের অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু আবেদনের মধ্যে এক লক্ষ ৮০ হাজার আবেদন ত্রুটিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হয়। 

জেলা প্রশাসন সূ্ত্রের খবর, অনেকের আবেদনপত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর ভুল রয়েছে। কারও নামের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মেলেনি। আবেদন পত্রে দেওয়া অন্য তথ্যের গরমিল রয়েছে। পাশাপাশি, অনেকে আবেদন পত্রের সঙ্গে সাস্থ্য সাথী কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র যুক্ত করতে পারেননি।


জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ আবেদনগুলি সংশোধন এবং অসম্পূর্ণ আবেদনগুলিকে সম্পূর্ণ করে দ্রুত আবেদনকারীকে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।

 এই লক্ষে আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে প্রতিটি গ্রামে আবেদনকারীর বাড়ি বাড়ি যাবেন সরকারি প্রতিনিধিরা। তাঁরা তথ্য যাচাই করে আবেদনপত্রটিকে ত্রুটিমুক্ত করবেন। এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্রের মত নথি যুক্ত করার কাজ হবে। এই কাজটি স্থানীয় আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও পঞ্চায়েত কর্মীরা করবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, একজন আবেদনকারী একাধিক আবেদন করেছেন— এরকম নজিরও রয়েছে।

 সেক্ষেত্রে একটি আবেদন রেখে বাকিগুলি বাতিল করে দেওয়া হবে। ২৫ অক্টোবর থেকে সাতদিন ধরে জেলায় চলবে বাড়ি বাড়ি আবেদনপত্র ত্রুটিমুক্ত করার কাজ। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যে আবেদনগুলি ত্রুটিপূর্ণ সেগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংশোধন করা হবে। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে আমরা এই কাজ শুরু করব। একজন আবেদনকারীও প্রকল্প থেকে বাদ পড়বেন না।’’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন