লকডাউনের ইঙ্গিত? আবার থমকে যাবে সবকিছু? দেশজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকারের তরফে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। শহর কলকাতায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে কলকাতা পুরনিগমকে তৎপরতা বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে সেগুলিকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ফের থমকে যেতে চলেছে দেশ, আরও একবার লোকাল সহ ট্রেন পরিসেবা বন্ধ হতে পারে বলে খবর সূত্রের।
করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। পরে দীর্ঘ ৭ মাস পর কোভিড বিধি মেনে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ট্রেনের কামরার ভিতর একটি আসন ছেড়ে বসার জন্য যাত্রীদের বলা হয়। ট্রেন সফর করত গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করা হয়। কিন্তু এখন বদলে গেছে সেসব চিত্র। লোকাল ট্রেনে সেই চেনা ভিড়। কোভিড বিধি শিকেয় উঠেছে। তার ওপর করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। যা প্রথম দফার থেকে অনেক বেশি।
লকডাউনের ইঙ্গিত? সূত্রের খবর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যে একাধিক কোভিড বিধি জারি হতে চলেছে আবার, এমনকি মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বন্ধ করা হতে পারে লোকাল সহ যাবতীয় ট্রেন। সূত্রের দাবি এখন পর্যন্ত দেশের ১০ কোটি মানুষের বেশি ভ্যাকসিনের আওতায় চলে এসেছেন। যতক্ষন না ৪৫ বছরের বেশি বয়স্ক সব মানুষ কে ভ্যাকসিনের আওতায় না আনা যায় ততক্ষন পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হতে পারে দেশ জুড়ে। বন্ধ হতে পারে রেল পরিষেবাও। তাছাড়া রেল কর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই লাগামহীন সংক্রমণ শুরু হয়েছে। রেল মন্ত্রক চিন্তিত এই বিষয়টি নিয়েও।
রেল কর্মীদের শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে রাজ্যেও। সংক্রমণ বাড়ায় হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া ডিভিশনে ১৬ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ডিভিশনের একাধিক গার্ড করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।তাই মঙ্গলবার থেকে মেমরি, শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর, পাণ্ডুয়া, তারকেশ্বর লোকালের মত ১৬ জোড়া ট্রেন বাতিল হয়েছে।
প্রায় একই পরিস্থিতি শিয়ালদহ ডিভিশনেও। ৩০ জন চালক ও দশজন গার্ড আক্রান্ত ওই ডিভিশনে। শিয়ালদহের ডিআরএম এস পি সিং বলেন, বুধবার ছুটির দিন ছিল। তাই ট্রেন কম চলেছে। এই ডিভিশনেও আগামী এক দু’দিনের মধ্যে পাঁচ—ছ’জোড়া ট্রেন বাতিল করা হবে। চারশোর কিছু বেশি চালক রয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই।