বর্তমানে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কড়া লকডাউন চলছে , আর এরই ফলে সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে যার ফলে কিন্তু বহু দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ রয়েছেন যাদের কিন্তু রুজি রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে তারা কিন্তু বর্তমানে কাজ হারা হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন । এই রকম পরিস্থতিতে নিজেদের সংসার চালানো তাদের পক্ষে কিন্তু দায় হয়ে উঠেছে আবার যে সমস্ত মানুষেরা এর ওপরে লোন নিয়ে রেখেছেন তাদের যখন এই লোনের কিস্তি মেটাতে হচ্ছে এখানে কিন্তু তাদের চিন্তা আরো বেড়ে গেছে । এই রকম পরিস্থতিতে তারা নিজের পরিবারের মুখে খাবারই পৌঁছে দিতে পারছেন না তাহলে তারা কিভাবে লোনের টাকা মেটাবে ?
বর্তমানে আপনারা সবাই জানেন অসম সরকার কিন্তু এই কড়া লকডাউনে তাদের যে সমস্ত লোন গ্রাহকরা আছেন অর্থাৎ আসামের যে সমস্ত লোন গ্রাহকরা আছেন তাদের কিন্তু লোন মুকুব করে দিয়েছেন আর আজকের ভিডিওতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে লোন মুকুবকে নিয়ে একটা বড় আপডেট চলে এসেছে এবং লোনের কিস্তি বন্ধ নিয়ে কিন্তু একটা নতুন আপডেট চলে এসেছে এবং সেই সঙ্গে এই 6000 এবং 12000 টাকার বিষয়টাও জানাবো
তো পশ্চিমবঙ্গে কড়া লকডাউন চলার জন্য কিন্তু আমাদের যে সমস্ত ব্যাংক রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সেই সমস্ত ব্যাংক গুলো কিন্তু প্রতিদিন খোলা এবং বন্ধ করার জন্য কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা রয়েছে । সেটি হল সকাল 10 টা থেকে 2 টা পর্যন্ত । আপনারা যারা যারা গোষ্ঠী লোন নিয়ে রেখেছেন এখানে যেটা হয় যে ব্যাংকের আধিকারিকরা স্বয়ং কিন্তু আপনাদের বাড়িতে বা আপনাদের পাড়াতে এসে কিন্তু এই লোনের কিস্তি নিয়ে যান । বেশ কিছু এখন এলাকা রয়েছে যেখানে এই ব্যাংকের আধিকারিকরা বর্তমানে লকডাউনের ফলে কিন্তু লোনের কিস্তি আদায় করতে পারছেন না এবং সেই সমস্ত দর্শকরা কিন্তু জানতে চাইছেন যে , তাদের লোনের কিস্তি তো এখন দেওয়া হচ্ছে না তাহলে কি তাদের সুদের টাকা দিতে হবে ? তো প্রতিউত্তরে এটাই বলা যেতে পারে যে , এখনকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়ে লোনের কিস্তি নিয়ে যাওয়া ব্যাংক আধিকারিকদের পক্ষে বিপদজনক এবং সেই কারণে এটি এখন বন্ধ করা দরকার এবং এর জন্য সরকারকে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন । তাছাড়া আপনারা সকলেই জানেন যে , এই পরিস্থিতিতে অসম সরকার কিন্তু লোনের কিস্তির টাকা মূকুব করে দিয়েছেন অর্থাৎ যারা যারা বন্ধন ব্যাংক বা অন্য microfinance থেকে লোন নিয়ে রেখেছেন তাদের লোনটাকে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে মুকুব করে দিয়েছেন এবং সরকার কিন্তু নিজেই এই লোনের টাকা মেটাচ্ছেন । তাছাড়া বন্ধুরা পশ্চিমবঙ্গে এই লকডাউনে কিস্তি দিতে হবে কিনা এবং যদি দিতে না হয় তার জন্য সুদের ওপর সুদ দিতে হবে কিনা সেই বিষয়ে ব্যাংক আধিকারিকদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে যে , বর্তমানে কিন্তু RBI এর তরফ থেকে কিন্তু কোনো রকম কোনো লোন মনেটোরিয়ামের নোটিশ বা নোটিফিকেশন পাওয়া যায়নি তারজন্যে কিন্তু লোন মনেটরিয়ামের কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি । তো সেই ক্ষেত্রে আপনাদের বলে দিয়ে চাই , আমরা যদি চাই তাহলে কিন্তু আমরা লোন মনেটরিয়ম পেতে পারি তার জন্য কিন্তু আমাদের সকলকে সরকারের কাছে আর্জি জানতে হবে ।
এবং সেই সঙ্গে আমি আপনাদের একটা বিষয় জানতে চাই এই যে 6000 টাকা এবং 12000 টাকা দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন এক্ষেত্রে সব থেকে বড় কথা হল যেটা এখানে কিন্তু বলা হয়েছে যে লকডাউন পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পর করোনা স্বাভাবিক হওয়ার পর এই টাকাটা দেওয়ার কথা তিনি ঘোষণা করেছেন তবে এই সময় আমরা আমাদের তরফ থেকে বলতে পারি যে এই সময় কিন্তু সাধারণ মানুষেরা সবথেকে বেশি বিপদ এবং দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ রয়েছেন যারা দীন দরিদ্র মানুষ রয়েছেন তাদের কিন্তু এই টাকাটা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন । তাই অবশ্যই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি থাকবে যে যদি এই টাকাটা দিতেই হয় তাহলে লকডাউনের সময়ে এই টাকাটা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন যাতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর হতে দুটো টাকা আসে এবং তারা তাদের সংসারটা অন্তত একটু চালাতে পারেন ।